তারিখঃ ২৬.০৯.০৪
প্রিয় উজ্জ্বল,
এমন কথা আমার কখনও জানা ছিল না যে, অনুশোচনা করে পত্র লিখতে হবে তোর বরাবর? তা বেশ আজ আমি যা লিখতে বসেছি তা হয়ত তুই কখনও কামনা করিসনি। আমি কোনদিন তোর দুইটি পয়সা বেশী খরছ হঊক চাইনি কিন্ত তুই যে ধারনা আমাকে নিয়ে পোষন করেছিস তা তোর ভূল। তবে এটা সত্য যে তোর দুইটি কথা আমার বাকি জীবনের জন্য বিদানাদায়ক হিসেবে লেখা থাকবে।
ক) সবই আমি বুঝি।
খ) তুই আমার এখান থেকে চলে যাবি কালকের ভিতর।
উজ্জ্বল তুই আমার বন্ধু হয়ে যে উপহার দিলি তা আমার দীর্ঘ চাকুরীর জীবনে কেউ বলার সুযোগ পায়নি আপনি কালকে চলে যাবেন।তবে তোর প্রতি আমার অভিযোগ নেই কারণ আমি তোকে কখনও মালিক ভেবে কাজ করিনি। কারন আমি যানতাম তোর কাজ মানে আমার কাজ।আমার ভিতর অহংকার বা ঘৃণা নেই কিন্ত লজ্জা বোধ আছে। যে মানুষ তোর বাসায় গিয়ে দিনের পর দিন থাকতে পারছিল একদিন সে এখন কেন চলে আসে সেটা তোর কোনদিন জানা নেই কারণ আমি তোকে বলিনি তাই।
আজ বলি শোন তুই যে মাঝে মধ্যে আমার সাথে টেলিফোনে বাসায় বসে চিৎকার চেচামেচি করতিস সেই একটি মাত্র কারনে তোর বাসায় গিয়ে থাকতে পারতাম না নিজেকে বড় ছোট মনে হত।
আমার কাছে এমন কথা এসেছে যে আমার পক্ষ থেকে জসীম সওদাগরকে শিখী দিয়েছি তার পাওনা গুলো নেওয়ার জন্য। না আমি তা নয় তোর বিশ্বাস না হলে তাতে আমার কোন ক্ষতি কোন কালেই নেই। তোকে বন্ধু হিসেবে ভেবেই তোর কোন ক্ষতি হঊক বা ভবিষ্যতে হবে এটাও আমি চাইনি আর সেই জন্যে তোর সাথে আমার কাজের গরমিল। কিন্ত এ গরমিল তোর বদ্ধমোল ধারণা। আমি হয়ত কখনও তোর কাছে সারা জীবন থাকতাম না।
তবে আমার অনুরোধ রইল তোর প্রতি যদি আমার দ্বারা কোন ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে বন্ধু হিসেবে আমাকে একবার স্বরণ করিয়ে দিবি সেটা অর্থ বা সমাধান দুইটি পাবি। তবে আমার একটা অনুরোধ থাকবে তোর কাছে, যেহেতু আমার তোর এ ব্যাপারটা শম্পা আদৌও জানে না। সে যেন কখনও জানে না অবশ্য এ ব্যাপারে আমি তোর ঊপর বিশ্বাস রাখী।
আমি তোর সাথে যতখানি ঝগড়া বা বিবাদ করেছি তোর ভবিষ্যত ভেবেই, কারণ হয়ত আমার কাছে কিছু আমানত ছিল, সেটা একদিন আমি প্রকাশ করতাম।
এখন তোকে নিয়ে তোর ভাববার সময় হয়েছে তাই ভাববি বসে অবকাশে সেখানে যেন আমি নামের কেই নও তোর। “তুই তোর, তোর তুই, সেখানে অন্য কেউ নয়। ভাববি বসে সেখানে, যেখানে তোর কেউ নেই। সেখানে যেখানে বিন্দু ছিল, হিন্দল বি-হন্দল নয় ক্রন্দল, স্বহার্থে অনার্থে তুই, তোকে বেদনার্থে ও আমি। তুই তুই-ই আর আমি আমি-ই।
মোঃ রকিবুল করিম (ইয়ানূর)