কি হতো অন্যতে ?

তুমি যে বললে আমায়,অন্য কেউ হলে,
অনেক কিছু হয়ে যেতো,কি হতো যে তাতে,
তোমার ঘাটতি পড়ে যেতো ?এমন কি হতো যে,
তুমি পাগল পাড়ায় না চাইছো ?
আমি যা চাইছি,
তা কি তুমি দিয়েছো মোরে ?
আমি ভব ঘুরে হবো কি তোমার জন্যে ?
তুমি যা বলো তাই যদি হয় তাহলে কি ভয় ?
তোমার আলিঙ্গন আমি চেয়েছি বৈ কি ?
ভালো বাসি বলেই তো চায় তোমাতে ?
যদি বলো চাবে না, চাইবো আমি অন্যতে ।
তখন ভাববে বসে,
আর বলবে আমায় যা ইচ্ছে তাই।
পেরেছো কি দিতে আমায় তোমারই নিমিত্তে।
তোমার নিরঙ্কুস ভালোবাসা বুক বাধে কি আসায় ?
মন ভাঙ্গে হৃদয় কারে তোমার যৌবনের তারুন্যে।
ব্যাথায় সর্বাঙ্গে জ্বালায় শরীর অঙ্গে অঙ্গে।

নারীর ঢঙ।

ও মেয়ে তোর হলুদ রঙের শাড়ী,
তোরে মানায় বড্ড ভারী।
তোর কেন বাড়া-বাড়ী,
তুই যাবি কার বাড়ী ?
ও মেয়ে তোর নাকে নোলক,
পায়ে আলতা, ঠোটে লাল রং,
তোর কেন এত ঢঙ ?
কেমন তোর মন,
তুই ভাংবি কার যৌবন ?
ও মেয়ে তোর কানে দুল,
নাকে ফুল, করছিস না তো ভূল ?
ও মেয়ে তোর হলুদ রঙের শাড়ী,
তোরে মানায় বড্ড ভারী।
তোর কেন বাড়া-বাড়ী,
ও মেয়ে তোর গলায় হার,
পায়ে ক্ষার, হবে এবার কার ?
ও মেয়ে তোর হলুদ রঙের শাড়ী,
তোরে মানায় বড্ড ভারী।
তোর লম্বা লম্বা কেশ,
তোর মনটা ছদ্ম বেশ।
তোর কমর ভাঙ্গে মাজা ভাঙে,
ভাঙে না তো মন।
ও মেয়ে তোর হলুদ রঙের শাড়ী,
তোরে মানায় বড্ড ভারী।
তোর কেন বাড়া-বাড়ী,

নারীর অভিসাপ।

এ সকালে আমি কি জানলাম,
যা আমি ভাবিনি কখনও,
সে যেন কোথায় এক ব্যাদনা,
সহসা যা কাউকে বলা যায় না।
তবুও তো সে তা ঘটিয়েছে,
শুভক্ষনে অ-শুভলগনে শুভ।
তোমাদের বে-মানান আর বে-সামাল,
মেলাতে হয়েছে পরাস্থ সে নারী।
তুই পরাস্থ করেছো তাকে,
সেই তুই বলাদকার করেছো তাকে।
তুই নির্লজ বে-হায়া, বে-সরম,
ধুত্ব তুই নুইচছা,
তুই আমাকে নষ্ট করেসনি,
করেছিস তোর নিজেকে।
তুই মানুষ নামের কলংক।
ইস্বর যেন তোকে বিচার করেন,
তারই ইচ্ছা মতন করে।
তবে তুই পাবি না টের,
যেদিন পাবি সেদিন পস্তাবি।

বে-আনারী নারী

ও সুন্দরী নারী তোমার মনটা কেন ভারি।
তুমি দেখতে বড় বে-আনারি।
তুমি আনায় আনায় ষোল আনা
বার আনায় নেই তোমার।
তুমি যে নারী রাত্রের রাণী ।
তুমি নও তো কোন দিশারী।
কখনও পাথয় পথের সাথী,
কখনও না, অথৈয় নদীর নদীয়া।
তোমার রূপ আছে গুন আছে,
কিন’ নেই তোমার স্বাধীনতা।
তুমি থাকবে আবরণে,
করবে নিবারন পুরুষকে।
তুমি ঢাকবে তোমার শরীরকে,
তুমি মানবে সমাজকে।
না হলে ভাঙ্গবে তোমার অঙ্গ।

তোমার চোখ।

গান
তোমার চোখ দেখে মনে হয়,
কিছু চাইছো তুমি ?
তোমার মুখ দেখে মনে হয়,
কিছু বলবে তুমি ?
কিছু বলবে তুমি ?
তোমার কথা শুনে মনে হয়,
কিছু ঘটেছে তোমার ?
না না না না
না না-না না,
না কিছু ঘটে নি,
না কিছু হয় নি,
তোমার চুল দেখে মনে হয়,
কিছু করেছো তুমি ?
তোমার মুখ দেখে মনে হয়,
কিছু ঘটেছে ।
না কিছু ঘটে নি,
যে টুকো হয়েছে ,
সে টুক ও তোমায় ভালো বেসেছি
না না কিছু হয়নি,
হয়েছে হয়েছে
হয়েছে হয়েছে হয়েছে
ভালো বাসা হয়েছে ।

ও হে পরয়ার

তোমাকে জানাবার কোন ভাষা আমার জানা নেই।
তোমাকে বুঝাবার কোন সাধ্য আমার নেই ।
তুমি মহান তুমিই তামাম জাহানের মালিক।
তোমা থেকে পালাবার কি সাধ্য আছে আমার।
আমায় পাপের নেশায় যখন গ্রাস করে,
তুমি তো পারতে আমায় হাতছানি দিতে?
কেন যেন জানি না তোমার নীলা॥
তোমাকে ভাববার মত সহসা সাহস নেই যার।
পারবো কি না পারবার গ্রীই পার হতে?
ক্ষমা আমায় যদি তুমি না করো তাই-
বে-হাল আর যন্ত্রনা কাঁদায় আমায়।
এ কাঁন্দার শেষ কভূ কি মেলে তাই।

প্রিয় উজ্জ্বল (১)

তারিখঃ ২৬.০৯.০৪
প্রিয় উজ্জ্বল,
এমন কথা আমার কখনও জানা ছিল না যে, অনুশোচনা করে পত্র লিখতে হবে তোর বরাবর? তা বেশ আজ আমি যা লিখতে বসেছি তা হয়ত তুই কখনও কামনা করিসনি। আমি কোনদিন তোর দুইটি পয়সা বেশী খরছ হঊক চাইনি কিন্ত তুই যে ধারনা আমাকে নিয়ে পোষন করেছিস তা তোর ভূল। তবে এটা সত্য যে তোর দুইটি কথা আমার বাকি জীবনের জন্য বিদানাদায়ক হিসেবে লেখা থাকবে।
ক) সবই আমি বুঝি।
খ) তুই আমার এখান থেকে চলে যাবি কালকের ভিতর।

উজ্জ্বল তুই আমার বন্ধু হয়ে যে উপহার দিলি তা আমার দীর্ঘ চাকুরীর জীবনে কেউ বলার সুযোগ পায়নি আপনি কালকে চলে যাবেন।তবে তোর প্রতি আমার অভিযোগ নেই কারণ আমি তোকে কখনও মালিক ভেবে কাজ করিনি। কারন আমি যানতাম তোর কাজ মানে আমার কাজ।আমার ভিতর অহংকার বা ঘৃণা নেই কিন্ত লজ্জা বোধ আছে। যে মানুষ তোর বাসায় গিয়ে দিনের পর দিন থাকতে পারছিল একদিন সে এখন কেন চলে আসে সেটা তোর কোনদিন জানা নেই কারণ আমি তোকে বলিনি তাই।

আজ বলি শোন তুই যে মাঝে মধ্যে আমার সাথে টেলিফোনে বাসায় বসে চিৎকার চেচামেচি করতিস সেই একটি মাত্র কারনে তোর বাসায় গিয়ে থাকতে পারতাম না নিজেকে বড় ছোট মনে হত।
আমার কাছে এমন কথা এসেছে যে আমার পক্ষ থেকে জসীম সওদাগরকে শিখী দিয়েছি তার পাওনা গুলো নেওয়ার জন্য। না আমি তা নয় তোর বিশ্বাস না হলে তাতে আমার কোন ক্ষতি কোন কালেই নেই। তোকে বন্ধু হিসেবে ভেবেই তোর কোন ক্ষতি হঊক বা ভবিষ্যতে হবে এটাও আমি চাইনি আর সেই জন্যে তোর সাথে আমার কাজের গরমিল। কিন্ত এ গরমিল তোর বদ্ধমোল ধারণা। আমি হয়ত কখনও তোর কাছে সারা জীবন থাকতাম না।

তবে আমার অনুরোধ রইল তোর প্রতি যদি আমার দ্বারা কোন ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে বন্ধু হিসেবে আমাকে একবার স্বরণ করিয়ে দিবি সেটা অর্থ বা সমাধান দুইটি পাবি। তবে আমার একটা অনুরোধ থাকবে তোর কাছে, যেহেতু আমার তোর এ ব্যাপারটা শম্পা আদৌও জানে না। সে যেন কখনও জানে না অবশ্য এ ব্যাপারে আমি তোর ঊপর বিশ্বাস রাখী।

আমি তোর সাথে যতখানি ঝগড়া বা বিবাদ করেছি তোর ভবিষ্যত ভেবেই, কারণ হয়ত আমার কাছে কিছু আমানত ছিল, সেটা একদিন আমি প্রকাশ করতাম।
এখন তোকে নিয়ে তোর ভাববার সময় হয়েছে তাই ভাববি বসে অবকাশে সেখানে যেন আমি নামের কেই নও তোর। “তুই তোর, তোর তুই, সেখানে অন্য কেউ নয়। ভাববি বসে সেখানে, যেখানে তোর কেউ নেই। সেখানে যেখানে বিন্দু ছিল, হিন্দল বি-হন্দল নয় ক্রন্দল, স্বহার্থে অনার্থে তুই, তোকে বেদনার্থে ও আমি। তুই তুই-ই আর আমি আমি-ই।

মোঃ রকিবুল করিম (ইয়ানূর)

এ কেমন মে-লা?

যখন হয়নি দেখা তোমায়?
তখন ছিলেম অজান্তা।
মানুষের গহবরে জন্ম আমার,
তোমার জন্ম মনে হয় অজান্তে।
কেন না নারী নামের কেলেঙ্কারী।
তুমি মিলেছো অবাধে জঙ্গলে,
না হয় অন্ধকারে কোথাও।
তুমি তোমার সবই দিয়েছো তাকে।
তোমার দু’উরুতে ছিল শত্ব,
তাই তুমি এখান থেকে চলে যাও।
দূর হও তুমি তোমার নিমিত্তে।

বহুমূখী নারী

যে দুঃখ আমি পেয়েছি, তা তুমি জানো নি?
যে স্বপ্ন তুমি দেখিয়ে ছিলে, তা তুমি পারোনি?
যে সময় টুকু আমি চেয়েছিলাম তা তুমি দাওনি?
তোমার সময় ছিল যে, অন্যের জন্যে সে টুকো,
যে টুকো ছিলনা তোমার, আমার জন্যে?
কেন না তুমি ছিলে বহুমূখী প্রেমীলা,
আজ এ, কাল সে, পরশু তুমি অন্যের।
তোমর ধরণিতে ছিল এইচ আই ভি,
তাই সে দিন আমি তোমায় রেখেছিলাম অন্তরালে।
বেশেছিলে ভালো ক’ড়িকে, আমাকে নয়?
তাই সব সময়ই ভয় হয়, সে যেন আমার নয়।
খেয়ালে আর বে-খেয়ালে সে দিন বলে ছিলেম,
তুমি নষ্টা, তুমি স্রষ্টার সেই নিকৃষ্ট নারী।
তাইতো তোমায় প্রচন্ড ঘৃণা করি সন্ধিক্ষনে।

সুরনশ কবি গরু

লালন তুমি কারো শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলে কি?
সূধন বাবু যা তুমি লিখেছো শিক্ষিত হয়ে?
রবি ঠাকুর তুমি যা করেছো বাংলা ভাষায় দিক্ষীত না হয়ে,
কবি গুরু নজরুল তুমি করেছো জাগ্রত মানুষের মন।
জাত-অজাত শরৎ বাবু তুমি ধূয়েছো কায়োস্থ ব্রাম্মনকে।
তোমাদের নিয়ে আমার দুঃখ কি জানো, আমি যা লিখি
তোমরা সবাই তা কেউ না কেউ লিখে গিয়েছো?
তোমরাই বলো কিন্তু তা কেন হবে?
সারী বা পংতি যে টায় লিখি সে টায় যেন মনে হয় তার।
তাই আমি বড্ড বি-বাগে তোমাদের নিয়ে।
সে দিন ছিল না আমার মত তোমার অবসান?
কেন না, অনাহার কষ্ট আর দুঃখ দেখোনি তোমরা?
সে বেলায় ছিলনা অভাব আর যাতনা সেখানে,
এ বেলায় এখানে আছে হরেক রকম নেশাচর,
আরো আছে নানা রকম শুভংকরের ফাঁকী।
ভাববে কি ভাববে না দূরের পথের দিশারী,
তবুও তোমাদের জানায় আমার অকৃতজ্ঞ শ্রদ্ধা